নবগঠিত দপ্তর ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর যাত্রা শুরু

দেশজুড়ে

আগস্ট ১১, ২০২২ ৭:২১ অপরাহ্ণ

মো: শাহরিয়ার

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নবগঠিত দপ্তর-সংস্থা ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে।

আজ সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসে নবগঠিত দপ্তরটির কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সকল ধরনের শিল্পীদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ কাজ করবে। কবি-সাহিত্যিকদের পাশেও এটি দাঁড়াবে। শিল্পীদের একটি আশ্রয়ের জায়গা হিসেবে এটি কাজ করবে।

দপ্তরটি প্রতিষ্ঠায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট এর অনুকূলে ২০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। টাকাটি কিভাবে ব্যবহার করা হবে এর নীতিমালা খুঁজতে গিয়ে সচিব মহোদয় দেখলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালে বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুমোদন করেছেন এবং এর আওতায় একটি দপ্তর-সংস্থা খোলার নির্দেশনা দিয়েছেন। কে এম খালিদ বলেন, সচিব মহোদয় দপ্তর খোলা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাজ সমাধা করেন। এরপর এ বিষয়ক একটি সভায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি বলেন, এরপর আসে দপ্তরটির জায়গা নির্বাচন ও জনবলের প্রশ্ন। জনবল নিয়োগ দিতে অনেক সময় লাগবে বিধায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমি হতে অস্থায়ীভাবে দপ্তরটির জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের সংস্থান করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজে সংস্থাটির অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দপ্তরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে’কে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং এ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮টিতে।

কে এম খালিদ বলেন, শিল্পীরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করেন। করোনাকালে সারাদেশের প্রায় ২০ হাজার অসচ্ছল শিল্পীকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের আওতায় দপ্তরটি চালু করার কারণে এর তহবিল আরো বৃদ্ধি করা যাবে।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার সহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অসচ্ছল শিল্পীদের কল্যাণ সাধন, শিল্পীদের কল্যাণার্থে প্রকল্প বাস্তবায়ন, অসুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসা সহায়তা, শিল্পকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি প্রদান, শিল্পীদের মেধাবী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য সহায়তা প্রদান, শিল্পী পরিবারকে সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০০১ এর ৬(১) ধারামতে গত ২৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর ১৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *