বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টুর চূড়ায় পা রাখলেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়াসফিয়া নাজরীন। এর আগে ২০১২ সালে ২৬ মে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন। এরপর বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গও জয় (সেভেন সামিট) করেন তিনি।
উচ্চতায় এভারেস্টের পর হলেও পর্বতারোহীদের কাছে কঠিন পর্বত হিসেবে পরিচিত কে-টু। ১৯৫৪ সাল থেকে মাত্র ৪২৫ জন কে-টুর চূড়ায় উঠেছেন, যার মধ্যে নারী ২০ জন।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন।
গত ১৭ জুলাই রাতে কে-টুর চূড়ায় উঠার জন্য যাত্রা করেন ৩৯ বছর বয়সী এ পর্বতারোহী। রেনেটা লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিখ্যাত ৩ পর্বতারোহী- মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।
সেদিন এক ফেসবুক পোস্টে ওয়াসফিয়া নাজরীন লেখেন, আমরা আজ রাতে নিমসদাই, মিংমা তেনজি শেরপা এবং মিংমা ডেভিড শেরপার নেতৃত্বে কে-টুর জয়ের জন্য যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সুখবর আসবে। কোনো খবর না থাকলেও, ভালো আছি জানবেন। আমি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের সঙ্গে আছি তাই চিন্তা করবেন না। শুধু আমার জন্য প্রার্থনা করবেন। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা…।
উল্লেখ্য, কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টু। এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত এটি।