দোয়ার জন্য যেসব স্থান ও সময় উত্তম

দোয়ার জন্য যেসব স্থান ও সময় উত্তম

ধর্ম

নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হলো দোয়া।

এই দোয়াকে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। তাইতো পবিত্র কোরআন ও হাদীসে নবী করিম (সা.) এর মাধ্যমে মানুষকে দোয়ার বিষয়ে নির্দেশ তথা তাক্বীদ দিয়েছেন।

দোয়ার জন্য হাদিসে বিশেষ কিছু স্থান ও সময়ের ব্যাপারে তাকীদ এসেছে, যেগুলো সংক্ষেপে বর্ণিত হলো-

(১) কোরআনী দোয়া ব্যতিরেকে হাদিসে বর্ণিত দোয়া সমূহের মাধ্যমে সিজদায় দোয়া করা
(২) শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ ও সালামের মধ্যবর্তী সময়ে
(৩) জুমার দিনে ইমামের মিম্বরে বসা হতে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সময়কালে
(৪) রাত্রির নফল সালাতে
(৫) সিয়াম অবস্থায়
(৬) রামাজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ বেজোড় রাত্রিগুলোতে
(৭) সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে দু’হাত উঠিয়ে
(৮) হজের সময় আরাফাতের ময়দানে দু’হাত উঠিয়ে
(৯) মাশ‘আরুল হারাম অর্থাৎ মুযদালিফা মসজিদে অথবা বাইরে স্বীয় অবস্থান স্থলে ১০ই জিলহাজ্জ ফজরের সালাতের পর হতে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত দোয়া করা
(১০) ১১, ১২ ও ১৩ জিলহাজ্জ তারিখে মিনায় ১ম ও ২য় জামরায় কংকর নিক্ষেপের পর একটু দূরে সরে গিয়ে দু’হাত উঠিয়ে দোয়া করা
(১১) কাবাগৃহের তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে।
(১২) ‘কারোর পিছনে খালেছ মনে দোয়া করলে, সে দোয়া কবুল হয়। সেখানে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকেন। যখনই ওই ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য দোয়া করে, তখনই উক্ত ফেরেশতা ‘আমীন’ বলেন এবং বলেন তোমার জন্যও অনুরূপ হোক’। (মুসলিম)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী হাদিসের ওপর আমল সাপেক্ষে আল্লাহর কাছে যথাযথভাবে ধরনা দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন পূরণে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *