দুপুরে পোর্ট এলিজাবেথে নামছে বাংলাদেশ, দলে একাধিক পরিবর্তনের আভাস

খেলা স্লাইড

এপ্রিল ৮, ২০২২ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে টাইগার স্কোয়াডে একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে। দলে ওপেনার তামিম যুক্ত হতে পারে। তার এই ফেরাকে বিশেষ বলছেন অধিনায়ক মুমিনুল। ডারবানে না পারলেও পোর্ট এলিজাবেথে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে টাইগার স্কোয়াড। কন্ডিশন নিয়ে খুব একটা ভাবছে না টিম টাইগার। সেন্ট জর্জেস পার্কে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ২টায়।

ডারবান টেস্ট শেষ, এখনও আছে তার রেশ। স্লেজিং ইস্যু আর বাজে আম্পায়ারিং। ঘুরে ফিরেই আসছে আলোচনায়। বৈরি কন্ডিশন, উইকেট নাকি সাম্প্রতিক ইস্যু, পোর্ট এলিজাবেথে বড় নিয়ামক হবে কোনটি?

যদিও মাঠের পারফর্মেন্সেই মনোযোগী ছাত্র টিম টাইগার। ভারত মহাসাগর থেকে উড়ে আসা শীতল বাতাসেই প্রশান্তি খুঁজতে চাইছে দল। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর হোম গ্রাউন্ডকে তারা বানাতে চায় হোম। নানা ইস্যুতে ঘরে এবং ঘরের বাইরের সমালোচনার দিতে চায় মোক্ষম জবাব।

যেখানে জয়ের চওড়া ব্যাট দেখাচ্ছে আশার আলো। সঙ্গে আছে ইনফর্ম তামিমের কামব্যাক। প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ভেঙে পড়া থেকেই শিক্ষা নিতে চান বাংলার কাপ্তান। স্লেজিং আর কন্ডিশন চিন্তা দূরে ঠেলে সাফ জানালেন জেতার জন্যই নাকি মাঠে নামবে তার দল।

অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, তামিম ভাইয়ের কন্ডিশন ভালো আছে। এ ম্যাচ নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। জেতার জন্যই খেলব। প্রতিটি সেশনই শতভাগ মনোযোগ দিয়ে খেলবো।

অন্যদিকে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্লেজিং ইস্যুকেই বড় ইস্যু বানালেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। সিরিজ জয়ে আরও একবার দায়িত্ব নিতে বললেন বোলারদের।

অধিনায়ক ডিন এলগার বলেন, আমাদের দলের কেউ খারাপ ভাষায় কথা বলেনি। মাঠে কথার লড়াই হবেই। বাংলাদেশকে মনে রাখতে হবে, এটা টেস্ট ক্রিকেট। আমার মনে হয়, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটে অভ্যস্ত না। দ্বিতীয় টেস্টে বোলারদের কাছ থেকে আরও দাপুটে পারফরম্যান্স আশা করছি।

যে কোনো সংস্করণে সেন্ট জর্জেস পার্কে প্রথমবারের মতো মাঠে নামছে টিম টাইগার্স। ইতিহাস বলে সময় গড়ানোর সঙ্গে এখানকার উইকেট হবে ফ্ল্যাট। ডারবান টেস্টে মহারাজ আর হারমার, বাংলার ব্যাটিং লাইনআপকে করেছেন চুরমার। তবুও তিন পেসার নাকি দুই স্পিনার, সিদ্ধান্ত আসবে ম্যাচ-ডেতে উইকেট দেখেই।

প্রথম টেস্ট জিতলেও ফুরফুরে মেজাজে নয়, আফ্রিকান দলটার সবাই অনুশীলনে ভীষণ মনোযোগী। ওয়ানডে সিরিজ হারার ক্ষত তারা পোষাতে চান টেস্ট সিরিজ জিতে।

এই ম্যাচ জিতলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রোটিয়াদের দুই নম্বর জায়গাটা হবে আরও পোক্ত। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে চায় টাইগাররা। সব মিলিয়ে আভাস মিলছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *