প্রায় ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দুধ গরম করার ফলে দুধের ওপরে এক ধরনের পাতলা ও হালকা হলুদাভ ক্রিমের আস্তরণ পড়ে থাকে। যা দুধের সর নামেই আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। ফর্সা নয়, ত্বকের স্বাভাবিক রং উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা যায় দুধের সর।
সুন্দর মানেই ফর্সা ত্বক নয়। ত্বকের সৌন্দর্য বলতে দাগছোপহীন ও রোদে পোড়াভাব নেই এমন চকচকে ত্বককে বোঝায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং সূর্যের অত্যধিক সংস্পর্শের কারণে অনেক সময় ত্বক মলিন হয়ে যায়। আর এ মলিন ত্বকের জন্য দুধের সর বেশ উপকারী।
রূপচর্চা বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে দুধের সর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
দুধের সর ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এর ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায় ও প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে। এছাড়াও ত্বকের সার্বিক সুস্থতা রক্ষায় দুধের সর উপকারী।
কালো দাগ দূর করে
সাধারণত ত্বকের কালো দাগ সহজে দূর হতে চায় না। এ সমস্যা কমাতে দাগের ওপরে দুধের সর মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
আরও ভালো ফলাফল পেতে এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি ত্বকের ওপর শুকিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সরে থাকা প্রোটিন ত্বকের দাগ সৃষ্টিকারী মৃত কোষ দূর করার পাশাপাশি নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে।
বয়সের ছাপ দূর করে
আগে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী পাওয়া যেত না। সেই সময়ের নারীরা ত্বক স্ক্রাব করতে ও প্যাক হিসেবে দুধের সর ব্যবহার করতেন। এতে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন ত্বকের ‘কোলাজেন’ তৈরি ও বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।