দিনের বেশিরভাগ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী হয়, জানেন?

লাইফস্টাইল স্পেশাল

এপ্রিল ২৬, ২০২২ ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের এই যুগে মোবাইল ফোনের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে হেডফোন বা ইয়ারফোনের ব্যবহারও। রাস্তা বা বাসা বাড়ির কোলাহল বা বিরক্তিকর আওয়াজ এড়াতে অনেকেই কানে হেডফোন ব্যবহার করে শোনেন পছন্দের সংগীত। কিন্তু এই অভ্যাসে অজান্তেই আপনি আপনার ক্ষতি ডেকে আনছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় হেডফোন বা এ ধরনের যন্ত্র কানে লাগিয়ে গান শোনাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা হেডফোন বা ইয়ারফোনের উচ্চ শব্দে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি আপনি কানে শোনার ক্ষমতাও হারাতে পারেন বলে মনে করছেন তারা।

দীর্ঘ সময় ধরে কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারে আপনার কী কী সমস্যা হতে পারে আসুন তা জেনে নিই আজকের আয়োজনে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় আমাদের কানে বাতাস চলাচল হয় না বললেই চলে। এতে কানের ভেতরের পরিবেশ হয়ে ওঠে আর্দ্র। আর আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক বেশি।

জীবাণু সংক্রমণের পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেরও। তাই আপনার কানে পানি জমা বা ইনফেকশনের মতো রোগ হতে পারে।

কানের সংক্রমণ আরও বেড়ে যায় যখন আপনি নিজের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার না করে অন্যেরটা ব্যবহার শুরু করেন। অন্যের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া এতে দ্রুত শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়। তাই কানের সংক্রমণ এড়াতে অন্যের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা ত্যাগ করুন।

ইয়ারফোনের অতিরিক্ত শব্দ সরাসরি কানে যাওয়ার কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে, ফলে কানে ব্যথা হয়। এছাড়া, ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যাও।

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহারে কান ও এর আশপাশেও ব্যথা বা যন্ত্রণার অনুভূতি হতে দেখা যায় অনেকেরই। এছাড়া মাথা ঘোরা, অস্থির অনুভূতি, কাজে একাগ্রতা ও মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় শব্দের চাপে কানের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হ্রাস পেতে থাকে শ্রবণশক্তিও।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *