সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ঘিরে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ওমর সানী ও জায়েদ খান। সানীর অভিযোগ, মৌসুমীকে অসম্মান করেছেন জায়েদ। এদিকে জায়েদ বলছে, মৌসুমীকে সে অসম্মান করে কথা বলেনি। এমন দ্বন্দ্বের মাঝেই এক অডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তার অডিও বার্তা জায়েদ খানের পক্ষে গেলে প্রশ্ন ওঠে আসে চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও চিত্রনায়ক ওমর সানীর দাম্পত্য জীবন নিয়ে? তবে কী তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী নয়?
টাকা-পয়সা কিংবা সৌন্দর্য বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে পারে না। বৈবাহিক সম্পর্কে সম্মান, ভালোবাসা ও বিশ্বাস না থাকলে সে সংসার জীবন সাধারণত সুখের হয় না। এ জন্য দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আন্তরিকতা ও একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া। আর ব্যক্তিগত পারিবারিক কলহ নিজেরা নিজেরাই সারিয়ে ফেলা। তবেই সুখী হওয়া সম্ভব। বিষয়গুলো যত ঘোলা করবেন ততই সংসারে অশান্তি বাড়বে।
বিনীত, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, ভালো স্বভাব, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার ও ধৈর্যশীল গুণগুলো সংসার টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ওমর সানী কী ধৈর্যহীন হয়ে পড়লেন? রাগের বশে চড় মেরে বসলেন স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করা জায়েদ খানের ওপর।
কিন্তু এসব ক্ষেত্রে থাকতে হবে ধৈর্যশীল, ক্ষমাশীল ও সহযোগী মনোভাবাপন্ন হিসেবে। তবেই দাম্পত্য জীবনে সুখ পাবেন। আর দাম্পত্য জীবনে সুখ পেতেই আমাদের আজকের আয়োজন।
ওমর সানী ও মৌসুমীর মতো যাতে আপনার জীবনেও এমন পরিণতি না আসে সে জন্য হতে হবে সতর্ক। তাই আজকে আমরা কথা বলবো দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় নিয়ে।
দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকবেন যেভাবে
মনের মিল
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনের মিল। মনের মিল না থাকলে সংসার জীবনে সুখী হওয়া যায় না। আর সবসময় মনের মিল না-ও হতে পারে। তাই বলে অন্য কারও তুলনা টেনে আনবেন না। এতে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারেন সঙ্গী।
জোর করবেন না
আপনার স্ত্রীকে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় জোর করবেন না বা কোনো কিছু চাপিয়ে দেবেন না। অনেকেই মুখ ফুটে নিজের চাহিদার কথা বলতে পারেন না। ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। বুঝে নিন ঠিক কী চান তিনি।
ব্যক্তিগত বিষয় জনসম্মুখে না আনা
নিজেদের পারিবারিক কলহ বা সমস্যা নিজেরাই আলোচনা করে সারিয়ে ফেলুন। সমস্যাকে যত বেশি জনসম্মুখে আসবে তত বেশি বাড়বে সংসারে অশান্তি।
সঙ্গীর পছন্দকেও গুরুত্ব দিন
স্বামী বা স্ত্রী দুজন দুজনের পছন্দের গুরুত্ব দিন। ভালোবাসা যেন শরীর সর্বস্ব না হয়। বরং মন জয় করুন।
বিশেষ দিনে উপহার
বিশেষ দিন যেমন, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন। এই দিনগুলোতে বিশেষ আয়োজন রাখতে পারেন। এ ছাড়া উভয়ে নিজেদের উপহার দিতে পারেন। এত সংসার আনন্দময় হবে।
ভুল বুঝাবুঝি
সংসার জীবনে ভুল বুঝাবুঝি, ঝগড়া হতে পারে। তা নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করুন। অন্য কাউকে টেনে আনার আগে সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। আর মনের মধ্যে কষ্ট চেপে রাখবেন না। এতে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস কমে যায়।
হঠাৎ পরিবর্তন
জোর করে কিছু পাল্টে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আরোপিত কোনো কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এতে করে সংসারের শান্তি নষ্ট হয়। তাই সবকিছুর মধ্যে সংযত ভাব আনুন।
সপ্তাহে একদিন ঘুরতে যান
দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার অন্য আরেকটি উপায় হচ্ছে ঘুরে বেড়ানো। কারণ সারা সপ্তাহ কাজ করে মন ও শরীর ঠিক রাখতে এবং সঙ্গীকে সময় দিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন।