‘তিন ভাগ পাকিস্তান’: সমালোচনায় ভাসছেন ইমরান

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ৩, ২০২২ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না করলে পাকিস্তান তিন ভাগ হয়ে যাবে বলে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্তব্যে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ওই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। রাজনীতির মাঠে থেকে নিজের সীমা অতিক্রম না করার জন্য ইমরানের প্রতি হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন তিনি।

গত ৯ এপ্রিল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাকে ক্ষমতাচ্যুতির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল বলে সে সময় থেকে অভিযোগ করে আসছেন তিনি। এমনকি বিদেশি ষড়যন্ত্রে শেহবাজ শরিফ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জড়িত ছিল বলেও দাবি করেছিলেন ইমরান। এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যাবে পাকিস্তান। তার এমন মন্তব্যের পর দেশটিতে এখন চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

ইমরানের ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পর বৃহস্পতিবার (২ জুন) টুইট করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বলেন, ইমরান দেশের বিরুদ্ধে খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছেন। সরকার চালানোর যোগ্যতা ইমরান খানের নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠে থেকে সীমা অতিক্রম না করতে এবং দেশকে ভাগ করা নিয়ে কথা বলার সাহস না দেখাতে ইমরান খানকে হুঁশিয়ার করেন শেহবাজ শরিফ।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ইমরান খানের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলী জারদারিও। এক টুইট বার্তায় তিনিও বলেন, পাকিস্তানকে বিভক্ত করা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না।

 এর আগে  ইমরান খান আরও বলেন, আমার দায়বদ্ধতা থাকলেও পরিপূর্ণ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব না থাকায় কোনো ব্যবস্থাপনাই কাজ করেনি। একটি ব্যবস্থা তখনই কাজ করে, যখন দায়বদ্ধতা ও কর্তৃত্ব এক জায়গায় থাকে।

তার মতে, বাইরের শত্রুর আক্রমণের শঙ্কা থাকায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অপরিহার্য। কিন্তু শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের জন্য বড় সমস্যা। যদি প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে লিখিতভাবে আমি নিশ্চিত করতে পারব, তারা ও সামরিক বাহিনী গোল্লায় যাবে।

সাবেক এই ক্রিকেট তারকা আরও বলেন, পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারালে তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদি চলতি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া না হয়, তবে এ দেশ আত্মঘাতী হতে যাচ্ছে।

অনাস্থা ভোটের রাতের কথা স্মরণ করে তিনি জানান, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। তবে এখন আমি বিস্তারিত কিছু বলছি না। কিন্তু যখন ইতিহাস লেখা হবে, তখন অনাস্থা ভোটের রাতের কথাও আসবে। কারণ সেদিন পাকিস্তানের ইনস্টিটিউশনগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *