তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ‘জিপি অ্যাকাডেমি’ চালু

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্লাইড

মে ১৯, ২০২২ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘জিপি অ্যাকাডেমি’ উন্মোচন করেছে গ্রামীণফোন। বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর জিপি হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অ্যাকাডেমি ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে সহায়তা করবে। জিপি অ্যাকাডেমির প্রোগ্রাম ও কোর্সগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তরুণদের ক্যারিয়ার প্রস্তুতি জোরদার করবে, উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতাকে শানিত করবে এবং তাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।

‘জিপি এক্সপ্লোরারস’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গত দুই বছর ধরে আপস্কিল করে যাচ্ছে। এখন জিপি অ্যাকাডেমির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য দেশজুড়ে তরুণদের দক্ষতার বিস্তৃতি ঘটানো।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা গ্রামীণফোনের এ অনন্য উদ্যোগে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমি প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনীর মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণ দেখে আনন্দিত। বেসরকারি খাতে এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদের আরও দক্ষ করতে এবং তাদের বাস্তব কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করতে কার্যকর হবে।

টেলিনর এএসএর ইভিপি ও চিফ পিপল অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউচ জিপি অ্যাকাডমির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য ভবিষ্যৎমুখী কর্মদক্ষতা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেলিনর এবং সিসকোর যৌথ প্রয়াসে গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমির উদ্বোধনের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এবং আশা রাখি যে, নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এমন সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশে, ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিযোগিতামূলক কর্মশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাব প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বের করে আনার প্রত্যয় ধারণ করে গ্রামীণফোন। আমরা আমাদের বিভিন্ন আপস্কিলিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল দক্ষতার সমন্বয় ঘটানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী যে, ফিউচার-রেডি স্কিলের মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের নিয়মিত প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় টেলিনর এবং সিসকোকে পাশে নিয়ে জিপি অ্যাকাডেমি পরিবর্তনমুখী দক্ষতার মাধ্যমে তরুণদের সম্ভাবনার উন্মোচন ঘটাবে, যা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট নেশনে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।

সিসকো বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের মধ্যকার অংশীদারিত্ব এবং সিসকোর নেটওয়ার্কিং অ্যাকাডেমিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে চমৎকার সম্ভাবনাগুলোর সূচনা হতে পারে, তা নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। এটি আগামীদিনের প্রযুক্তির সঙ্গে বর্তমানের প্রতিভাকে সমন্বিত করার একটি পদক্ষেপ, যা প্রযুক্তি খাতে তাদেরকে আরও দক্ষ করে তোলে, ফলশ্রুতিতে তাদের ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে এবং ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিশ্বের জন্য বাংলাদেশের তরুণদেরকে শাণিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *