কিয়েভে রকেট হামলার ব্যর্থতা স্বীকার জাতিসংঘ মহাসচিবের

আন্তর্জাতিক স্লাইড

এপ্রিল ২৯, ২০২২ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তার সফরের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রকেট হামলার পর এ সমালোচনা করেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে কিংবা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা বিপুল হতাশা, রাগ এবং ক্ষোভের উৎস বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিবিসির।

অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের সুনির্দিষ্ট কাজ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় এ সংঘাত নিয়ে এর প্রস্তাবে একাধিকবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে রাশিয়া। ফলে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত সফল হয়নি।

বৃহস্পতিবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। জেলেনস্কি আগেও বহুবার নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করেছেন। গুতেরেস বলেন, ‘আমি এখানে আপনাকে এবং ইউক্রেনীয় জনগণকে বলতে এসেছি, আমরা হাল ছাড়ব না।’

গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ অচল হয়ে পড়লেও জাতিসংঘ অন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনে জাতিসংঘের ১ হাজার ৪০০ কর্মী কাজ করছে। তারা খাবার, অর্থ এবং অন্যান্য সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এ সফরের মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ইউক্রেনে রাশিয়ার করা যুদ্ধাপরাধ নিজে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছেন। এ সময় জেলেনস্কি আরও একবার তার দেশে রাশিয়ার পদক্ষেপকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মধ্যে কিয়েভের শেভচেনকো জেলার মধ্যস্থলে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, এসব বিস্ফোরণে তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যেসব স্থানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ তুলেছে তার কয়েকটি পরিদর্শন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

স্থল, সাগর ও আকাশপথে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশে এমন বড় হামলার ঘটনা আগে ঘটেনি। প্রাথমিক যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো বলছিল, কিয়েভে ইউক্রেন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এ অভিযান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *