ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল টিম টাইগার্স

খেলা স্লাইড

জুলাই ১৭, ২০২২ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারী বাংলাদেশ।

এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে আটকে যায় উইন্ডিজ ব্যাটাররা। ফলে টাইগারদের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭৯ রানের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে চার উইকেটে জয় পেয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬ ও দ্বিতীয়টিতে জয় পেয়েছিল ৯ উইকেটে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল টিম টাইগার্স।

তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয়া বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৯ বল খেলে ৮ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করেন তিনি।

দ্বিতীয় সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের বিপদ আরো বাড়ান মুস্তাফিজুর রহমান। দলের একমাত্র পেসার ৮ বলে ৪ রান করা শামারাহ ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

এরপর ক্যারিবীয় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও এই সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া কেসি কার্টি। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দুজন গড়েন ৬৭ রান। বিপত্তিটা বাঁধে ইনিংসের ২৭তম ওভারে। নাসুম আহমেদের বল মিড অন দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কার্টি। কিন্তু বল উঠে যায় উপরে। ক্যাচ ধরেন তামিম ইকবাল। কার্টির ৬৬ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস শেষ হয় হতাশায়।

এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার আলো হয়ে ছিলেন পুরান। তার ব্যাটে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলার পর হাত খুলেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলআউটের পথে বাধা ছিলেন পুরান। তার বিদায়ের পর তাতে সময় বেশি লাগেনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল।

১৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধনে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পুরো সিরিজের মতোই ব্যর্থ হন তিনি। ১৩ বল খেলে ১ রান করেছেন শান্ত। আলজেরি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে।

শান্তর বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু গুদাকেশ মোতির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে মারেন তামিম। ৫২ বলে ৩৪ রান করা ব্যাটারের ক্যাচ নেন আকিল হোসেন। ভেঙে যায় লিটনের সঙ্গে তার ৫০ রানের জুটি।

তামিম আউট হলেও লিটন খেলে যাচ্ছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু এরপর গুদাকেশ মোতি নিজের বলে নিজেই ধরেন দারুণ এক ক্যাচ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ৪২.৬২ স্ট্রাইক রেটে ২৬ রান করতে খেলেন ৬১ বল। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরানের বলে ক্যাচ দেন উইকেট-রক্ষক শাই হোপের হাতে।

এরপর বাকি পথটা পার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান।

বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ২ উইকেট করে নেন নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *