এবার পাসপোর্টও ফিরে পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান

বিনোদন

জুলাই ১৪, ২০২২ ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। অবশেষে পাসপোর্ট ফিরে পেলেন তিনি। বুধবার (১৩ জুলাই) মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত ফিরিয়ে দিল আরিয়ান খানের পাসপোর্ট। সব মিলিয়ে এখন খুশির হাওয়া খান পরিবারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়, মাদক মামলা চলাকালীন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন আরিয়ান। সেই সময় আরিয়ান খানের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মাদক মামলায় আরিয়ানকে বেকসুর খালাস দিলেও তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয় না। তাই গত ৩০ জুন পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন আরিয়ান খান। বুধবার শেষ পর্যন্ত সেই পাসপোর্ট হাতে পেলেন শাহরুখ খানের ছেলে। বিশেষ আদালতের বিচারক ভিভি পাটিলই আরিয়ানের পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার পক্ষে রায় দেন।

গত ২৮ মে এনসিবি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম মাদক মামলায় বেকসুর খালাস দেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে। মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ঠিকই তবে কথায় আছে না শেষ হয়েও হইল না শেষ। আরিয়ান খানের ব্যাপারটাও ছিল অনেকটা সেই রকমই। মাদক মামলায় ক্লিক চিট পেলেও হাতে পান না পাসপোর্ট।

গত বছর ৩ অক্টোবর মুম্বাই বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রমোদতরী থেকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। আদালতে একাধিক শুনানি হয়। নাটকীয়তার মধ্যে দিয়েই গত ২৮ অক্টোবর জামিন পান শাহরুখপুত্র। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩০ অক্টোবর ছাড়া পান আরিয়ান। মাদককাণ্ডে ছয় হাজার পাতার চার্জশিট ফাইল করেছে এনসিবি।

তার মধ্যে অভিযুক্ত হিসেবে ১৪ জনের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় নেই আরিয়ানসহ মোট পাঁচজনের নাম। এ প্রসঙ্গে উচ্চপদস্থ এনসিবি আধিকারিক সঞ্জয় কুমার সিং একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন, আরিয়ান এবং মোহক ছাড়া সবার কাছ থেকেই মাদক উদ্ধার হয়েছিল।

২০ দিনেরও বেশি সময় জেলে কাটানোর পর মুক্তি পেয়েছিলেন আরিয়ান খান। তদন্তের স্বার্থে গঠন করা হয় নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ৩০ অক্টোবর সকালেই মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পান আরিয়ান খান।

২৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গত ২৮ মে আরিয়ানকে ক্লিন চিট দেয় এনসিবি। কিন্তু গোটা ঘটনায় আরিয়ানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এনসিবির ডেপুটি জেনারেল (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সিংয়ের সঙ্গে আরিয়ানের পরবর্তীকালে বেশ কিছু কথা হয়।

সেই সময়ই প্রথমবার ক্রুজকাণ্ডের পর মুখ খুলেছিলেন আরিয়ান! তার গলায় হতাশার সুর ছিল একেবারে স্পষ্ট। আরিয়ান বলেছিলেন, স্যার, আপনারা আমাকে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীর তকমা দিয়েছেন। আমি নাকি মাদক পাচারকারীদের আর্থিক সাহায্য করি! এ চার্জগুলো অদ্ভুত নয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *