এবাদতের ৩ উইকেটের পরও উইন্ডিজকে চাপে ফেলতে পারেনি টাইগাররা

খেলা স্লাইড

জুন ১২, ২০২২ ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে সফরকারী বাংলাদেশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বোলারদের প্রস্তুতিটা হল না আশাব্যঞ্জক। রেজাউর রাজা ও এবাদত হোসেন মিলে চার উইকেট নিলেও ইনিংসের বেশিরভাগ সময় আধিপত্য ধরে রাখতে পারেনি সফরকারী টাইগার বোলাররা।

একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (১১ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট’স একাদশের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ২০১ রান। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন ২৬ বছর বয়সী এই ওপেনার সলোজানো। ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন তিন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন কারিয়াহ। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন।

প্রথমদিনে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলিং প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বল হাতে নিয়েছেন ৬ বোলার। তবে রাজা ও এবাদত ব্যতীত কেউই উইকেটের দেখা পাননি। উইকেট পেলেও দুই পেসারই ছিলেন খরুচে। ইবাদত ১২ ওভারে ৫১ রান দিয়েছেন, রেজাউর ১৩ ওভারে ৪৭।

এদিন ব্যাট করতে নেমে চন্দরপল ও সলোজানোর উদ্বোধনী জুটি দারুণ সূচনা এনে দেয়। শতরান ছাড়ান জুটিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জকে দারুণ জবাব দিতে থাকে তারা। তবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রেজাউর রহমান রাজা। ৫৯ রান করা চন্দরপলকে ফিরিয়ে সফরকারী শিবিরে স্বস্তি এনে দেন তিনি।

এরপর সলোজানো ও ইমল্যাচের ব্যাটে ভালোই করছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু তখনোই দৃশ্যপটে হাজির এবাদত হোসেন। তার আগুন ঝরা বোলিংয়ে ইমল্যাচ ২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। দুর্দান্ত স্পেলে এরপর দ্রুত আরও দুজন ক্যারিবীয় ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। গোল্ডেন ডাক মারেন আথানাজে। রোস্টন চেজ করেন ৮।

এর আগে অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট’স একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। যদিও শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা না খুলেই উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন মাহমুদুল জয়।

এরপর অবশ্য প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে ১ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান তুলে প্রথম সেশন পার করে বাংলাদেশ।

দাপুটে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় সেশনে তামিমের পর অর্ধশতকের দেখা পান নাজমুল শান্তও। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ১৪২ রানের মাথায় প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে ক্যাচ তোলেন নাজমুল। ৯৯ বল খেলে ৯টি চারের সৌজন্যে ৫৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি।

শান্তর পরে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি মুমিনুল হক। ৬ বল খেলে তিনি ফেরেন শূন্য হাতে। অধিনায়কত্বের চাপ সরিয়ে ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতেই টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম ম্যাচে আবারও একই চিত্রনাট্য। যদিও এটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু সবার মনোযোগ ছিল তার ব্যাটের দিকেই।

ছুটিতে থাকা সাকিবের পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করা লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি। গা গরম করা ম্যাচে আউট হন মাত্র ৪ রান করে। মুমিনুল-লিটন ব্যর্থতায় বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আশঙ্কা জাগে দ্রুত অলআউটের। কিন্তু অবিচল ছিল দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও অ্যান্টিগায় দ্যুতি ছড়ালেন তামিম। অপরাজিত ছিলেন দেড়শো রানের ইনিংস খেলে। শেষদিকে নাঈম হাসান ৫৯ বল মোকাবিলায় করেন ৩৫ রান। আর তাতে স্কোরবোর্ডে ৩০০ পার করে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *