একযোগে পদত্যাগ করা মন্ত্রীরাই থাকছেন শ্রীলংকার নতুন মন্ত্রিসভায়

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুলাই ২২, ২০২২ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকায় একযোগে পদত্যাগ করা আগের মন্ত্রিসভাই আবারও শপথ নিতে চলেছে। আগামীকাল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে শপথ নেবেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর

প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনেশ গুণবর্ধনেকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট। জাতীয় সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে এই মন্ত্রিসভা এবং পরে তাতে রদবদল আনা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুও জানিয়েছে, রনিল বিক্রমাসিংহে রাজপাকসে পরিবারের দীর্ঘদিনের অনুগত ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ দিনেশ গুণবর্ধনেকে প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। লঙ্কান প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে এ কথা জানিয়েছে।

এর আগে, চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট রাজনৈতিক টানাপোড়েনে একযোগে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির মন্ত্রিসভার সব সদস্য। গত ৩ এপ্রিল লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগকারী মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপাকসেও।

এর পরের দিনই নতুন চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাসিল রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হন আলি সাবরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান জিএল পেইরিস। এছাড়া দীনেশ গুনবর্ধনে শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো মহাসড়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

সেই সময়ও পদত্যাগ করেননি প্রেসিডেন্টের ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা। তবে আন্দোলন ক্রমেই সহিংস হয়ে ‍ওঠায় শেষপর্যন্ত গত ৯ মে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর তিনদিন পরে (১২ মে) শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

তবে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ তাতেও কমেনি। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণ-আন্দোলনের মুখে গত ১২ জুলাই রাতে দেশছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তৎকালীন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রথমে মালদ্বীপ, এরপর সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই শ্রীলংকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

দেশটিতে সাধারণত জনগণের ভোটেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। তবে এবার সংকটের কারণে দ্রুততার সঙ্গে নেতা নির্বাচনের প্রয়োজন হওয়ায় বড় পরিসরে ভোটের আয়োজন বাদ দেওয়া হয়। তার বদলে পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে পরবর্তী সরকারপ্রধান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচনের। এতে জয়ী হয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির নতুন প্রেসিডেন্ট হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *