উপকূল এক্সপ্রেসের টিকিট ব্ল্যাকার আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি: সুদীপ দেবনাথ (রিমন সূর্য):
২৬ জুন( রবিবার) সকাল ৯.১০ মিনিটে ঢাকাগ্রামী উপকূল এর ব্ল্যাক টিকিট বিক্রি করার সময় আখাউড়া থানা আর,এন বি (চৌকী) মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া সাব-ইন্সপেক্টর ও তার ফোর্স নিয়ে ছদ্মবেশে টিকিট ব্ল্যাকার মোঃ রুবেল মিয়া(২৯),পিতা:নুরুল ইসলাম, উওর মোরাইল, বণিক পাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আটক করে সাংবাদিক সুদীপ দেবনাথ (রিমন)কে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন আমি গোপন ভিত্তিতে খবর পেয়ে আর, এন, বি আখাউড়া( রেলওয়ে) থানা থেকে খবর পেয়ে ছদ্মবেশে আমি ও আমার টিম নিয়ে (নিরস্ত্র) টিকেট কেনার জন্য আসছি তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন এর গেইট এর সামনে ডাকছে উপকূল ট্রেনে টিকিট লাগবে টিকেট তখন তৎক্ষণাৎ তাকে বলে টিকেট লাগবে তখন সাব-ইন্সপেক্টর বলল উপকূল ট্রেনের টিকেট লাগবে। তখন টিকিট ব্লাকার রুবেল বলল কয়টা টিকিট লাগবে তখন তারা তাকে তল্লাশি করা শুরু করলে তল্লাশি শেষে খ-বগী স্নিগ্ধা টিকেট ৮,৯,১০ ও চ-বগী স্নিগ্ধা ২৫,৩০,৩১, মোট ৬ টিকেট উদ্ধার করেছে। তারপর আসামি রুবেল কে জিঙ্গাসাবাদ করে তাকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অস্ত্রধারী পুলিশবাহিনীর সহযোগীতায় আখাউড়া থানায় চালান করে দেয়।
স্থানীয় লোকজন ও ট্রেনের যাত্রী মাধ্যমে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল স্টেশনে প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাকের টিকেট বিক্রি করা হয়। তারা এই কর্মকান্ডের জন্য খুবই অতীষ্ঠ। এদের কারনে তারা সঠিক দামে টিকেট ক্রয় করতে পারছে না। দ্বিগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনতে হয় ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে তখন তারা বাধ্য হয়েই এদের কাছ থেকে বেশী দামে টিকেট ক্রয় করে থাকেন ।
এই ব্ল্যাকাররা আগে থেকেই বেশ অনেক গুলো টিকেট অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেরা ক্রয় করে থাকে। এই ভুক্তভোগীরা ব্রাহ্মণ জেলা সাংবাদিকবৃন্দ, জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয় এর নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রেনে যাত্রীরা যেন ন্যায্য দামে টিকেট ক্রয় করতে পারে।
ব্ল্যাকাররা এই ট্রেনে টিকেটগুলা অনলাইন থেকে আশুুুগঞ্জ, ভৈরব,আখাউরা,কসবা,কুমিল্লা ও বিভিন্ন স্থান থেকে টিকেট সংগ্রহ করেন। তারা আমাদের মত সাধারন মানুষের কাছে বেশি দামে বিক্রয় করে যেখানে ট্রেনে টিকেটের মূল্য ২৫০ টাকা সেটি তারা দিগুন দামে বিক্রয় করে। এই বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের হুমকি দামকি দিয়ে ভয় দেখা ও খারাপ আচারণ করে। তাদের একটি বিশাল লোকবল রয়েছে যারা বিভিন্ন রকম জানমাল এর ক্ষতি করা চেষ্টা করে থাকেন। ( সাংবাদিক সুদীপ দেবনাথ রিমন কে তথ্য দেওয়ার পরে ৪ ছেলে জিঙ্গাসা করতে লাগলো আপনি কে? কোথায় থেকে আসছেন ? আপনার পরিচয় জানতে চায় খুব কঠিন ভাষা প্রয়োগ করেছে তখন নিজস্ব প্রতিনিধি বললো আপনারা কারা আপনাদের পরিচয় দেন। আপনাদের কি সমস্যা? কিভাবে সাহায্য করতে পারি তখন বললো আমরা সাধারণ জনগণ। তারপর নিজস্ব প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ট্রেনে উঠে ঢাকা চলে আসলো।