ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ‘শোকে’ অদ্ভুত কাণ্ড!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্পেশাল

জুন ২৩, ২০২২ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ কোরিয়ার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুং কি ইয়াং নিজের প্রিয় ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। গত ১৫ জুন (বুধবার) এই ব্রাউজারটি বন্ধ হলে এ বিষয়টিকে এক্সপ্লোরার মৃত্যু হিসেবে দেখেছেন তিনি। তাই নিজের প্রিয় ব্রাউজারকে শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশি প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি বানিয়েছেন সমাধি সৌধ।

দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিদায় নেয়া এক্সপ্লোরার সেই সমাধিসৌধটি কালো কংক্রিটের তৈরি। ওই কালো কংক্রিটের ওপর প্রথমেই বড় করে লেখা আছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরা লেখার ঠিক নিচে দেওয়া তারিখ। ১৯৯৫ থেকে ২০২২ সাল। তারপরই লেখা আছে, ‘অন্য ব্রাউজারগুলো ডাউনলোডের ক্ষেত্রে খুব উপকারি একটা টুল ছিলও।’

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়ানঝুয়ে জুং-কি-ইয়াংয়ের ভাইয়ের একটি ক্যাফে রয়েছে। ওই ক্যাফের সামনেই তৈরি করা হয়েছে এই সমাধি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমাধির ছবি প্রকাশের পর তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে নেটিজেনদের কাছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রথম প্রজন্মের ব্রাউজার হলো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরা। ১৯৯৫ সালে মানুষ এই ব্রাউজারটি ব্যবহার শুরু করে। তবে সময়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও ব্রাউজার যেমন গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি ইন্টারনেট দুনিয়ায় সামিল হলে ধীরে ধীরে এক্সপ্লোরার জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে।

এ কারণে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এই ব্রাউজারটির আনুষ্ঠানিক বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয় মাইক্রোসফট এজ ব্যবহার করার।

মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরা সম্পর্কে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুং কি ইয়াং বলেন, ‘ওর চলে যাওয়াটা সত্যিই দুঃখের। তবে আমি এই ব্রাউজারকে মিস করব না। বরং বলব, সুন্দরভাবেই ও বিদায় নিয়েছে।’

নেট দুনিয়ায় সবাই তার এই বক্তব্যে একমত পোষণ করেছেন। ১৯৯৫ সালের একমাত্র কার্যকরী ব্রাউজার ছিল এটি। সে সময় এর জনপ্রিয়তাও ছিল তুঙ্গে। তবে এখনও যে সেই জনপ্রিয়তার ভাটা পড়েনি, জুং কি ইয়াংয়ের ঘটনা তারই প্রমাণ।

সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *