ইইউ-ন্যাটো যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন দেশকে একত্রিত করছে: মস্কো

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ২৫, ২০২২ ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শুক্রবার (২৪ জুন) বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য দেশগুলোকে একত্রিত করছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী হিসেবে মর্যাদা দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ইউক্রেনকে সদস্য প্রার্থী হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। এর পরই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রুশ নেতাদের মাঝে।

আজারবাইজানের বাকুতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বায়রামভের সঙ্গে বৈঠকের সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, চলমান পরিস্থিতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেয়। যখন হিটলার সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইউরোপের বেশিরভাগ দেশকে একত্রিত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে হিটলার বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশকে তার ব্যানারে জড়ো করেছিলেন। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোও একই কাজ করছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য জোট গঠন করছে।

এ সময় ল্যাভরভ আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে সীমান্ত সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঘোষণা দেন, যা মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ বৈঠকের বিষয়ে মত দিয়েছেন। উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বৈঠকের জন্য সময় নির্ধারণ করা হবে। বৈঠকে বাকু এবং ইয়েরেভানের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে রাশিয়ার অবদানের কথাও স্মরণ করেন ল্যাভরভ।

ইউক্রেন এবং মলদোভাকে ইইউতে সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ল্যাভরভ বলেন, ন্যাটোর মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো সামরিক সংস্থা নয়। ফলে এই কাঠামোতে যুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার জন্য হুমকিরও কারণ নয়। মস্কো ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করছে।

সম্মেলনে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বায়রামভ বলেন, বাকু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং এ অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি চায়। এই প্রক্রিয়াটি কারাবাখের অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপের কাছে ‘জিম্মি’ হতে পারে না। বর্তমানে যার কোনো অস্তিত্ব নেই।

প্রায় তিন দশক আগে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপকে (ওএসসিই) এই শান্তি প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় তিন দশকেও এটির ফলাফল শূন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *