আইপিএলের টাকায় সম্পর্কে ফাটল ক্লার্ক-সাইমন্ডসের

খেলা স্লাইড

এপ্রিল ২৫, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

পাঠ্যবইয়ে একটা ভাবসম্প্রসারণ আছে— ‘অর্থই অনর্থের মূল’। অর্থের কারণে আমাদের সমাজে মারামারি হানাহানি হয়। আমাদের জীবনের সবকিছু এখনো সেই অর্থকে ঘিরেই আবর্তিত।

সেই অর্থের মোহের কারণেই বন্ধুর সম্পর্ক অনেক সময় ‘বন্ধুর’ হয়ে যায়। এমন একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার অ্যান্ডু সাইমন্ডস।

২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সাইমন্ডস। সেই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন রিকি পন্টিং।

সেই বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার একাধিক কিংবদন্তি ক্রিকেটার অবসর নেন। যে কারণে পরের বিশ্বকাপে ২০১১ সালে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেনি ব্রেট লিরা। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অজি দলের দুই সদস্য মাইকেল ক্লার্ক ও অ্যান্ডু সাইমন্ডসের মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতির কারণ।

১৫ বছর পর সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সাইমন্ডস। জানিয়ে দিলেন আইপিএলের অর্থই দুজনের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে। সাইমন্ডস এখন বলছেন, ২০০৮ সালের আইপিএলে বড় অঙ্কের চুক্তি পাওয়ার পরই ক্লার্ক ঈর্ষায় ভুগতে থাকেন।

অস্ট্রেলীয় এই অলরাউন্ডার বলেন, আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। ও যখন প্ৰথম জাতীয় দলে আসে, আমরা বেশিরভাগ সময় একসঙ্গে ব্যাটিং করতাম। ও দলে আসার পর থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।

সাইমন্ডস আরও বলেন, আইপিএল যখন শুরু হলো, বেশ ভালো অঙ্কের চুক্তি পেয়ে খেলেছিলাম। এতেই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা ঈর্ষার বাতাবরণ তৈরি হয়। এমনটাই আমাকে জানায় ম্যাথু হেডেন।

সাইমন্ডস আরও বলেন, অর্থ মজার মজার সকল কাণ্ড ঘটায়। এটা অবশ্যই ভালো। তবে এটা বিষময়ও হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দুজনের সম্পর্ক বিষিয়ে দেয় এই অর্থই। ওর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। সেই কারণে বিস্তারিতভাবে জানাচ্ছি না। ওর সঙ্গে বর্তমানে কোনো সম্পর্ক নেই। এতে আমার কোনো সমস্যাও নেই। তবে আমি মোটেও কাদা ছোড়াছুড়ি করব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *