কদিন আগেও ‘অপরাজিত’ সিনেমার ব্যাপক জয়জয়কার শোনা যাচ্ছিল। ছবির বিষয়বস্তু আর জিতু কামালের অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। লক্ষ্মীর মুখও দেখেছিলেন পরিচালক প্রযোজকরা। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বেধেছে বিপত্তি। অভিযোগ উঠেছে অপরাজিত সিনেমার কাহিনি চুরি করা। শুধু অভিযোগ করেও থেমে নেই। ইতোমধ্যে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে সাধু ব্রাদার্স এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস।
অভিযোগে বলা হয়েছে কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ তৈরির নেপথ্যের কাহিনি পর্দায় তুলে ধরছিলেন অপারিজত সিনেমার পরিচালক অনীক দত্ত। ভাবনাটা প্রথম তাদের মাথাতেই নাকি এসেছিল। ২০১২ সাল থেকে চলছিল ছবির শুটিং। কিন্তু টাকার অভাবে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এর মধ্যেই সেই ভাবনা ‘চুরি’ করে অপরাজিত বানিয়ে ফেলেন অনীক দত্ত। সে ছবি মুক্তির পর ভালো ব্যবসাও করে। অন্যদিকে এত বছরের পরিশ্রম নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে প্রযোজনা সংস্থা সাধু ব্রাদার্স এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস।
এ ভাবনা ‘চুরি’র বিষয়টি প্রথম সবার সামনে আনেন কুণাল ঘোষ। তিনিই দাবি করেন, ২০১২ থেকে ছবির শুটিং চলছে। কাজ করছেন এ রাজ্যেরই সংষ্কৃতি মনস্ক কিছু পুলিশকর্মী। প্রচারের অভাবে আসল টিম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অপরাজিত কি আদৌ মৌলিক ভাবনা কি না বলে প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়াও দুটো ছবির থিম যে এক, এটা জেনে নাকি না জেনে? সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।
এদিকে পরিচালক অনীক দত্ত পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, যারা দাবি করছেন তাদের থেকে আগে অভিযোগের প্রমাণ চাওয়া হোক। এভাবে তো যে কেউ বলতে পারে অন্যজন চুরি করেছে। প্রমাণ কোথায়? এ মুর্খতায় তিনি অংশ নেবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
ইতোমধ্যেই অপরাজিতর পরিচালক এবং প্রযোজকদের আইনি নোটিশ পাঠিয়ে নির্মাতাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।