১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার

অর্থনীতি স্লাইড

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনেই দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা (ডলার ১০৮ টাকা ধরে)। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের অঙ্ক ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র।

সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে সরকারি পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৪ লাখ ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২২ কোটি ডলার। সিটি ব্যাংকে এসেছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সাত কোটি ৩০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ছয় কোটি ২৩ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঁচ কোটি ২১ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকে এসেছে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসের ২০৩ কো?টি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে ঈদ-উল আজহার কারণে বেশি রেমিট্যান্স আসে। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তার পরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, হঠাৎ বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আনছে। কারণ, এসব ব্যাংক বেশি দামে বিদেশ থেকে ডলার কিনছে। প্রবাসীরাও বেশি দাম পাওয়ায় এসব ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এখন বিদেশ থেকে যেকোনো অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। এছাড়া প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ডলারের সংকট নিরসন এবং প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরা বসে গত ১১ সেপ্টেম্বর ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেয়। ঘোষিত দাম অনুযায়ী, এখন থেকে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকায় কিনতে পারবে ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবং বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক লেনদেন এবং গ্রাহক লেনেদেনের জন্য টাকার বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো। সবশেষ ১৮ সেপ্টেম্বরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বনিম্নও ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া আছে। অর্থাৎ সোমবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলার বেচাকেনা চলছে এই দরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *