সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
মতিউর রহমান সরকার দুখু, ( প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ছাদ খোলা বাসে সংবর্ধনা পেল বিজয়ীরা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ছাদ খোলা বাসে বাফুফে ভবন গিয়ে শেষ হবে এ বিজয়োল্লাস। মাত্র একদিনের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ছাদ খোলা বাস। খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানাতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাসটি সাজানো হয়।
এদিকে নারী ফুটবলারদের সাফল্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অর্ধকোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
হিমালয়ের পাদদেশের হিম শীতল ঠান্ডা ও বৃষ্টির সাথে লড়াই করে শুরু হয় সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ এর ষষ্ঠ আসর। ফ্লাডলাইটের আলোয় আলোকিত হয় রাজধানী কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম। ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে ০৬-১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২।
উক্ত আসরে গ্ৰুপ ‘এ’ তে বাংলাদেশ,ভারত,মালদ্বীপ ও পাকিস্তান এবং গ্ৰুপ ‘বি’ তে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে মোট ৭ টি দেশ অংশগ্রহণ করে।০৬ সেপ্টেম্বর নেপাল ও ভুটানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও নেপাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ আসরের পর্দা নামে।
ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে নেপালকে পরাজিত করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাজের নানারকম খোঁচা ও জীবনের হাজারো না বলতে পারা কষ্ট নিয়ে জয়ের তীব্র নেশায় মাঠে নামে বাংলার বাঘিনীরা। পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের জালে ২৩ টি গোল পাঠানোর বদলে ফাইনালে হজম করে মাত্র ১ টি গোল। যেখানে নেপালের ফিফা র্যাঙ্কিং ১০২ সেখানে বাংলাদেশের ১৪৭। এ শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফাইনালে ৩ টি গোলের মধ্যে
প্রথম গোলটি করেন ৩ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় শামসুন্নাহার ও বাকি
২ টি গোল করেন ৯ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় কৃষ্ণা রাণী সরকার।
ষষ্ঠ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ২ টি হ্যাট্রিকসহ ৮ টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরা হন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
এছাড়া সেরা গোলরক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় এ ট্রফি অর্জিত হয়েছে। তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং উৎফুল্ল। তাছাড়া ময়মনসিংহ জেলার প্রত্যন্ত গ্ৰাম করসিন্দুরের মানুষ তাদের মেয়েদের এমন সাফল্যে বিজয়োৎসব পালন করছে। ভবিষ্যতে যাতে আরো বড় ট্রফি আনতে পারে সেজন্য কিশোরী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ চলছে। নারী ফুটবলারদের পরিবার নিজেদের ধন্য মনে করছে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ট্রফিটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন।