ঈদযাত্রার শেষদিনেও দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। লকডাউনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছেন। পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও। তবে পর্যাপ্ত ফেরি না থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। ফেরি আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। যানবাহনও ফেরি থেকে নামার সুযোগ পাচ্ছে না।
তবে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সাড়ে ৭টা থকে ফেরিতে যাত্রী ওঠানামার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে এই ঘাটের সংযোগ সড়ক ফাঁকা রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বহরে ১৬ ফেরির মধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৪ ফেরি, যা দিয়ে যাত্রী পার করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই যানবাহন খুব একটা পার করতে পারছে না। ফেরিগুলো সাধারণত যানবাহন পারাপার করে। কিন্তু এখন পুরো ভর্তি যাত্রী দেখে বোঝার উপায় নেই তা।
এদিকে ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে এবং পায়ে হেঁটেই যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। বিড়ম্বনা এবং কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়েও নাড়ির টানে ছুটছেন। কোনো বাধাই মানছেন না তারা। করোনা স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। গায়ের ওপর গা লাগিয়ে ঘরমুখো সবাই। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএস মো. সফিকুর রহমান বলছেন, তাদের ফেরি বাড়ানোর মতো অবস্থা নেই। দুটি ফেরি বিকল মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, তারা ঘাটের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তবে মানুষের অস্বাভাবিক ঢলের কারণে কঠিন হয়ে পড়ছে।