বিতর্কিত সুপার লিগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে। ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাবের সমন্বয়ে একটি নতুন লিগ চালুর ঘোষণার পর শুরু হয় এই বিতর্ক। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় তারা। তবে এই ঘোষণায় ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনার কথা জানায় উয়েফা কর্তৃপক্ষ। এরপর বিদ্রোহী লিগ থেকে সরে আসে ক্লাবগুলো।
তবে ১২টি ক্লাবের মধ্যে ৯টি ক্লাব সরে আসে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ আর য়্যুভেন্তাস-এই তিনটি ক্লাব এখনো সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়নি। ফলে তারা একরকম বিপদেই পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উয়েফার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি না করায় শাস্তির হুমকি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-উয়েফা।
এর আগে ১৮ এপ্রিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিপরীতে বিতর্কিত সুপার লিগ আয়োজন ঘোষণা দিয়েছিল ক্লাবগুলো। কিন্তু এবার আনুষ্ঠানিকভাবে উয়েফার সঙ্গে পুরনো সম্পর্কে ফেরার চুক্তিপত্রে সই করল ৯টি ক্লাব। ক্লাবগুলো হলো- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল, এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
বার্সা, রিয়াল আর য়্যুভেন্তাসের মতো বড় দলগুলো রয়ে গেছে বিদ্রোহী লিগেই। তাদের বিরুদ্ধে এখন কী সিদ্ধান্ত নেবে উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটি? এখন সেদিকেই তাকিয়ে ফুটবলবিশ্ব।