আগের দিন ২৪২ রানে এগিয়ে দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। আজ আরও যোগ করেছে ১৯৪ রান। সে হিসেবে ৪৩৬ রানের লিড পেয়েছে লংকানরা। অর্থাৎ পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেতে ইতিহাস গড়ে ৪৩৭ রান করতে হবে টাইগারদের।
টেস্ট ইতিহাসেই এত রান তাড়া করে জয়ের কোনো নজির নেই। এর এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক। কখনও ২১৫ রানের বেশি তাড়া করেও জিততে পারেনি টাইগাররা। দেশের বাইরে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৮২ রান।
আর সেখানে লক্ষ্য ৪৩৭, তা আকাশ থেকে চাঁদ-তারা পেড়ে দেওয়ার বায়নার মতো শোনাচ্ছে।
তার ওপর চারদিনের উইকেটে ক্ষতের অভাব নেই। স্পিন ধরছে ভালোই। তাতে লংকান স্পিনাররা কত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশকে গুটিয়ে ফেলে সেই আশংকায় ভুগছে টাইগার সমর্থকরা।
অনেকের মতে, এখন প্রকৃতিই কেবল উদ্ধার করতে পারে বাংলাদেশকে।
অবশ্য সেই লক্ষ্য পূরণে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের মতোই ঝড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ রান। ২৫ বলে ২৪ রান করেছেন তামিম। অপরপ্রান্তে ১৫ বলে ৭ রান করেছেন সাইফ হাসান।
আজ বাংলাদেশের পক্ষে সবচাইতে সফল বোলার স্পিনার তাইজুল। ৫ উইকেট শিকার করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি তেমন।
শ্রীলংকার রান প্রবাহে বাঁধা দিতে পারেননি তিনি। প্রথম সেশনে ওভারপ্রতি প্রায় পাঁচ রান করে তুলেছে লঙ্কানরা। টেস্টকে ওয়ানডে বানিয়ে ছেড়েছে। যেই নেমেছেন দারুণ গতিতে লিড বাড়িয়ে নিয়েছেন। প্রথম সেশনে ৩২ ওভার খেলে লঙ্কানা যোগ করেন ১৫৫ রান।
ক্রিজে নেমেই চার-ছক্কা হাঁকানো ম্যাথিউসকে ১২ রানে থামাতে পারলেও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে অনায়াসেই দলের রান বাড়ান করুনারত্নে। এই জুটির ফিফটি আসে কেবল ৫০ বলেই! ৮২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়লে তাতে ভাঙন ধরান অনিয়মিত স্পিনার সাইফ হাসান।
আজ মিরাজ উইকেট পেলেও তুলোধোনা হয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কাছে। সকালে ৬ ওভারে ৩২ রান দেন তিনি।