ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা মিউজিক্যাল ফিল্ম নির্বাচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে নির্মিত মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘বাবা’।
গণমাধ্যেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমার পরিচালক রেমন্ড সালোমন।
এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের শিল্পীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করবেন। দেড় দশক ধরে দেশের শিল্পীদের সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনাও করেছি। এরপর নিজে পরিচালনার ওপর পড়াশোনা করি। অভিবাসন আইন পেশা ও শিক্ষার পাশাপাশি পরিচালনার ওপরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছি। এখন আমি আমার পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অসাধারণ সব গল্প ও ইতিহাস পৃথিবীকে জানাতে চাই।
গত বছরের আগস্টে ৬ মিনিট ২ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘বাবা’ ইউটিউবে মুক্তি দেয়া হয়।
পরিচালক জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৬০টির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে গীতিচিত্র ‘বাবা’ জমা দেয়া হয়। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি। তার আশাবাদ, সামনে হয়তো আরো কিছু পুরস্কার ঝুলিতে ভরতে পারবেন তিনি।
‘বাবা’ তৈরির পেছনের গল্পটা কী ছিল?
এ বিষয়ে নির্মাতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের অন্য একটি মানবিক দিক আছে। ১৫ আগস্টে নিহতদের বেঁচে যাওয়া সন্তানদের স্বজন হারানো বেদনার গল্প। তাদের বেদনা অনুধাবন করার ক্ষমতা কারোরই নেই, থাকার কথাও না। আমার গল্পের মূল চরিত্রের দুজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রায়ই আমার মনে প্রশ্ন জাগত, এমন নিষ্ঠুরভাবে স্বজনদের হারিয়ে তারা কীভাবে বেঁচে আছেন? একজন বাবার অনুপস্থিতিতে শোকার্ত কন্যার বেড়ে ওঠার বেদনাদায়ক গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গীতিচিত্রে।
সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নাফিসা শামা। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবুল হাসনাত মিল্টন।
