বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে মরিয়া ইউক্রেন

বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে মরিয়া ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক

নভেম্বর ২৫, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

ইউক্রেনে এবার মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে আসছে শীত। লাখ লাখ ইউক্রেনীয় ইতোমধ্যেই নিজ বাড়িতে শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাশিয়ার নতুন হামলায় আবারো ব্ল্যাক আউট হয়ে পড়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর। কিয়েভের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎহীন দশায় ছিল। অন্ধকারে ডুবে যায় পুরো লভিভ শহর। এমন অবস্থায় জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। ২৪ ঘণ্টা লাগাতার কাজ করে চলেছেন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে কিয়েভের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজধানীর তিন-চতুর্থাংশে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। জল পরিষেবা পুনরুদ্ধার করলেও রাজধানীর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশে তা বিচ্ছিন্ন ছিল। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা পুনরায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এবারের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, পরিবহণ, আবাসিক জেলাসহ অনেক কিছু। নিহত হয়েছে প্রায় ১০ জন।

ধ্বংসের একেবারে শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে দেশটির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘জীবন-হুমকিপূর্ণ’ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। অনুমান করেছে যে এর ফলে লক্ষাধিক মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে পারে। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, কিয়েভে জল পরিষেবা পুনরুদ্ধার করলেও বৃহস্পতিবার রাজধানীর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশ বিচ্ছিন্ন ছিল। রাজধানীর সত্তর শতাংশ বিদ্যুৎবিহীন রয়ে গেছে, ক্লিটসকো বলেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেও তিনি যোগ করেন। মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ করে ৭০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। নয় মাস যুদ্ধের পর এবার সব ধরনের সুবিধা ধ্বংস করে জোরপূর্বক আত্মসমর্পণ করানোর কৌশল চালাচ্ছে মস্কো বলেও মনে করছেন তারা। হামলায় তিনটি ইউক্রেনীয় পারমাণবিক কেন্দ স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় গ্রিড থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মলদোভাও ব্ল্যাক আউটে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কেননা দেশটি বিদ্যুতের জন্য অনেকাংশে ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল। খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, ‘শহরটি বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যায় ভুগছেন। জরুরি অবস্থায় শাট ডাউন অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখতে হচ্ছে।’ পোলতাভা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান দিমিত্রো লুনিন বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে।’ গভর্নর ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো বলেন, কেন্দ্রীয় দিনিপ্রো অঞ্চলের প্রায় ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ ছিল। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি জটিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *