মাথায় আঘাত পাওয়ায় সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে কনকাশন সাবে, লঙ্কা বাংলা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে নামেন পেসার তাসকিন। যা ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম কনকাশন। তবে ২০১৯ সালের পিংক বল টেস্টে টাইগারদের হয়ে সাদা পোষাকে কনকাশন সাবে লিটনের পরিবর্তে মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসানের পরিবর্তে মাঠে নামেন তাইজুল। কিন্তু কী এই কনকাশন সাব! কেনই বা ক্রিকেট মাঠে এর প্রয়োজনীয়তা।
২০১৪ সালে অজি ক্রিকেটার ফিল হিউজের মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। ক্রিকেট দিন শেষে নিছক বিনোদন আর এক বলেরই খেলা। নিজের জীবন দিয়ে খেলার মাঠে তা প্রমাণ করেন রমন লম্বা-ফিল হিউজরা। পেসারদের বাউন্সার কিংবা ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাথায় আঘাতের ঘটনা ক্রিকেটে দেখা যায় কদাচিৎ। মূলত কনকাশন সাবের ধারণা সেখান থেকেই।
২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত কেউ মাথায় আঘাত নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার পরিবর্তে অন্য কেউ পেতো না ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের সুযোগ। কিন্তু ফিল হিউজের মৃত্যু আর সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় আইসিসি চালু করে প্লেয়ার লাইক ফর লাইক বা কনকাশন সাবের নিয়ম।
নিয়মটা পরিস্কার। কারো মাথায় আঘাত লাগলে, তার পরিবর্তে মাঠে নামতে পারবেন তার পজিশনের অন্য আরেকজন। করতে পারবেন ব্যাটিং/বোলিংও। অর্থাৎ পেসারের পরিবর্তে পেসার। ব্যাটম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যান। স্পিনারের পরিবর্তে স্পিনার।
২০১৯ সালে অ্যাশেজের লর্ডস টেস্ট/ প্রথম দেখে এই কনকাশন সাব। জফরা আর্চারের বলে মাথায় আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পরেন স্টিভ স্মিথ। ঘাড়ে চোট পেয়ে ছিটকে যান এক টেস্টের জন্য। তার বদলে ব্যাটিংয়ে নামেন মার্নাস ল্যাবুশেইন। প্লেয়ার লাইক ফর লাইকের যাত্রা শুরু সেই থেকেই।
টাইগারদের প্রথম কনকাশন হয়েছিলো কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান লিটন দাস ও নাঈম হাসান। তাদের পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ ও বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল। যা ছিল বিশ্বের ৪র্থ ও পঞ্চম কনকাশন সাব।
লঙ্কা বাংলা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের ৪৭তম ওভারে চামেরার দ্বিতীয় বলটি হুক করতে গিয়ে প্রথমে কাঁধে পরে মাথায় আঘাত লাগার পর হাসপাতালে যেতে হয় সাইফউদ্দিনকে। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামে তাসকিন আহমেদ। যা ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথম কনকাশন সাবের ঘটনা। তবে স্বস্তির খবর হলো ইনজুরি গুরুতর নয় সাইফউদ্দিনের। প্রতীক্ষা তার সুস্থ হয়ে মাঠে নামার।