ব্রাহ্মণবাড়িয়া,নাসিরনগর,প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল গোয়ালনগর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রাম বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের প্রায় তিনশত গ্রাহক। জানাগেছে এ গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ২৯৪ জন গ্রাহক রয়েছে। ৬০ জন গ্রাহকে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল কয়েক মাসের। ১০ নভেম্বর নাসিরনগর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন পূর্ব নোটিশ ব্যতিত গ্রামে গিয়ে ৪০ জনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চলে আসে। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন আসার পর তারা আবারও মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা কদমতলী গ্রামে গিয়ে অফিসের অনুমতি ব্যতিত সংযোগ স্থপনের কারন জানতে চায়। এ সময় গ্রাহকরা তাদের উপর চড়াও হয়। ২৮ নভেম্বর সমস্ত কদমতলী গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায় কদমতলী গ্রামের পাশ দিয়ে ভয়ে যাওয়া নদীটি শীত মৌসুমে শুকিয়া যায় তাই তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পরের ৬ মাসের জন্য মাছ ফ্রিজিং করে রাখে। ২ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ফ্রিজে রাখা সমস্ত মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা আরো জানান গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কিঃ মিঃ দুরে অবস্থিত হওয়ায় ও সদরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের রাস্তা না থাকায় তারা সময়মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেনি। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য গ্রাহকদের একাদিক বার নোটিশ ও দেয়া হয়েছে। তারা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে স্থানিয় চেয়ারম্যানের কথা শুনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে নিজেরাই সংযোগ স্থাপন করেন যা আইনত ভাবে অবৈধ।
তাছাড়াও গ্রাম বাসি পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের উপর দা, লাঠি, পল, বল্লম নিয়ে চড়াও হয়। পরে স্থানিয় ইউপি সদস্য মিস্টার মিয়ার ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। ইউপি সদস্য মিস্টার মিয়া জানান ৩০০ গ্রাহকের ফ্রিজে রাখা প্রায় ২৫/৩০ লক্ষ টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে। এ দায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃক পক্ষের তারা এর ক্ষতিপূরন চায়। হামলার ব্যপারে তিনি বলেন ভুক্তভোগীরা উত্তেজিত হয়েছি কিন্তু কারো উপর হামলা চালায়নি। চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন কোন নোটিশ ছাড়াই সবার লাইন বিচ্ছিন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কোন লোকজনের উপর হামলা করেনি। বড়ং সবাই বকেয়া বিল পরিশোধ করতে ২ দিন সময় চেয়েছে। নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আজহারুল হকের নেত্রিত্তে আমাদের লোকজনের উপর হামলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য একাদিকবার নোটিশ ও দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রæত সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।