মোঃআব্দুলহান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,প্রতিনিধি
ব্রাহ্মাণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা ইউনিয়নেন ৪৬ নং খান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ বিলকিছ আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কারনে মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা অনেক ছাত্র ছাত্রী বৃত্তি পরিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ১০% ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করিতে পারবে বলে নিয়ম করেছে।কিন্তু খান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে ৬৫ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে।তাদের মাঝে রোল নং ১ হতে ১৯ পর্যন্ত কোন ছাত্র/ছাত্রীকে বৃত্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেয়নি। ১ থেকে ১০ রোল পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য তাদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করার পর তাদের কোনরূপ পাত্তা না দেওয়ায় তারা স্কুল কমিটির স্বরণাপন্ন হয়। স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ আহমদ বখত মতিন অনুরোধ করলে ও তার অনুরোধ রাখেননি ওই প্রধান শিক্ষিকা।বরং তিনি তার মনগড়া মত যাদের কে বৃত্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে তাদের বিদ্যালয় রোল-নং হল (২০)(৩০)(৩৯)(৪৪)(৫৯)(৬৪)।অভিভাবক তৌহিদ মিয়ার অভিযোগ, যে সকল ছাত্র/ছাত্রীরা মেধাতালিকায় ও বিদ্যালয়ে রোল ১ হতে ২০ এর ভেতরে রয়েছে তাদের বৃত্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে অনুমতি দেয়নি ওই প্রধান শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষিকা বিলকিছ আক্তারের ব্যবহৃত মুঠুফোনে একাদিক বার ফোন
করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।পরে সরাসরি স্কুলে গিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।তবে তিনি উল্লেখিত ৬ জনকে একক ভাবে সিলেক্ট করে তালিকা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস্যার বরাবরে আরো আগেই জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আহমদ বখত মতিন বলেন,আমিও তাকে অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়েছি।আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্কুলটি পরিচালনা করতে।কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা খু্বই কর্কষ মহিলা। সে কারো কথা শোনে না।তিনি সব সময় তার মনগড়া মত চলতে চায়।তাছাড়াও বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ না করেই টাকা তার নিকট আটকে রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া জানান,আমাদের নির্দেশনা আছে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ১০% ছাত্র/ছাত্রী
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।আর রোল নং ১ থেকে শুরু হবে।আমরা এখনো কোন তালিকা নেইনি।আগামী ১১ তারিখ মাসিক সমন্বয় সভায় সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে তা জানিয়ে দেয়া হবে।প্রধান শিক্ষিকার মনগড়া মত করে কোন তালিকা দেয়ার সুযোগ নাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ডিপিও) মোঃ খোর্শেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন তালিকা নেইনি।আমরা শুধু উপজেলার কোন স্কুলে কতজন ছাত্র/ছাত্রী আছে জানতে চেয়েছি।