নতুন বছরে সারা বিশ্ব পার্টি করছে 'পিঙ্ক জিন' দিয়ে, কেন?

নতুন বছরে সারা বিশ্ব পার্টি করছে ‘পিঙ্ক জিন’ দিয়ে, কেন?

ফিচার

জানুয়ারি ১, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে পার্টি ড্রিঙ্ক বা ককটেলের যে ট্রেন্ডটা অন্যতম জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেটা নিসন্দেহে পিঙ্ক জিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া শক্ত। মূলত, এই জিনটি ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্লাইমাউথ জিনের সঙ্গে অ্যাঙ্গোস্টুরা বিটার মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, যা এটিকে একটি সুন্দর গোলাপি রং দিয়েছে।

এর আগে, এটি একটি ককটেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। ব্রিটেনে ১৮ শতকের শেষের দিকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে ২২ শতকের ‘পিঙ্ক জিন’ হলো জিনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল, ভেষজ এবং মশলার মিশেল। আর গোলাপি রং দেয় স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, গোলাপের পাপড়ি।

গোলাপি জিনের স্বাদ কেমন?
গোলাপি জিনের বোতলটি দেখলে মনে হতে পারে এটি বাবলগামের মিষ্টির স্বাদ দিতে চলেছে। তবে রঙকে বোকা বানাতে দেওয়া উচিত হবে না! গোলাপি জিন তাজা, সুগন্ধি এবং মার্জিত পানীয় হিসাবে পরিচিত। এই ধরনের জিন সরাসরি পান করা যেতে পারে বা ঐতিহ্যগত জিন অ্যাণ্ড টনিক ককটেল তৈরি করতে টনিকের সঙ্গে মিশিয়েও পরিবেশন করা যেতে পারে।

গোলাপি জিন কী থেকে তৈরি?
ডিসটিলেশন বা পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য যে কোনো সাধারণ জিনের মতোই গোলাপি জিন তৈরি করা হয়। বানানোর সময় গোলাপি রং আনতে লাল রঙের বেরি (যেমন স্ট্রবেরি এবং লাল কিসমিস), গোলাপের পাপড়ি এবং অন্যান্য মশলা যোগ করা হয়।

কেন এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে?
যে কারণে মানুষ এর জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে তা হল, সাধারণত জিনের স্বাদ খুব তীক্ষ্ণ বা শুষ্ক হয়, সেটা আবার টনিকের সঙ্গে মেশানো হলে, তীক্ষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পায়। পিঙ্ক জিনের ক্ষেত্রে সে সমস্যা থাকে না। এর মৌতাত রঙের মতোই স্নিগ্ধ, ফলে বেসামাল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

কোথায় পাওয়া যাবে?অনলাইন বা সুপার মার্কেটে তো পাওয়া যাবেই। না পাওয়া গেলে যে কোনো জিনের সঙ্গে অল্প পরিমাণে পোর্ট রেডওয়াইন, লিচি জ্যুস, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর গোলাপ জল মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেয়া যায় এই ককটেল, সাজিয়ে দেওয়া যায় ওপরে তাজা গোলাপের পাপড়ি ভাসিয়ে।

সূত্র: আনন্দবাজার 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *