ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নতুন ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের নতুন এফটিপিতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে প্রায় দুইশো ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
আসন্ন এফটিপিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে খেলার অপেক্ষা শেষ হতে চলছে টাইগারদের। একই সঙ্গে বেড়েছে ম্যাচের সংখ্যাও।
২০১৮ সালে থেকে চালু হওয়া আইসিসির বর্তমান এফটিপির মেয়াদকাল ২০২৩ সাল পর্যন্ত। অতীতের তুলনায় এই এফটিপিতে বাংলাদেশের ম্যাচ সংখ্যা বাড়লেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ সীমিতই ছিল।
তবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদী নতুন এফটিপিতে টাইগারদের ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এছাড়া ২০২৬ সালে অজিদের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করতেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।
গণমাধ্যমকে জালাল ইউনুস বলেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনো কথা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা সিরিজ খেলতে। আমরা আশা করছি ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব।
তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৭ সালে দুটো টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এখনো নিশ্চিত হয়নি। ২০২৬ সালে ওরা আসবে। অস্ট্রেলিয়া আছে, ইংল্যান্ড আছে, সাউথ আফ্রিকা আছে, তাদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আছেই। কিছু কিছু সিরিজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে, পরে আপনারা জানতে পারবেন।
টাইগারদের অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফর একেবারে পাকাপোক্ত না হলেও নতুন সূচিতে টাইগারদের যে বেশ ব্যস্ত সময় কাটবে সেটা বলাই যায়। জালাল ইউনুসের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন সূচিতে বাংলাদেশ অন্তত ৪০টির বেশি টেস্ট, ৭০টির বেশি ওডিআই ও ৭৬টিরও বেশি টি-২০ মিলিয়ে প্রায় দুইশো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। এছাড়া বিভিন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইসিসি ইভেন্টে তো অংশ নেবেই টাইগাররা।
এই প্রসঙ্গে জালাল বলেন, আলাপ আলোচনা করে যেগুলো চূড়ান্ত করেছি এরমধ্যে ৪০+ টেস্ট , ৭০+ ওডিআই, ৭৬+ আছে টি-২০। এখান থেকে কিছু বদল হতে পারে। এইগুলো আইসিস ইভেন্টের বাইরে। এরপর তো আইসিসি ইভেন্ট আছেই। এরমধ্যে ট্রাইনেশন সিরিজও খেলতে পারি।