তিন ফসলি উর্বরা জমি কেটে চলছে পুকুর নির্মান

দেশজুড়ে

জানুয়ারি ২, ২০২৩ ১:৪৫ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের পরেও জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে তিন ফসলী জমি কেটে চলছে পুকুর খননের কাজ। ফলে হুমকির মূখে পড়েছে ওই এলাকার ১২০ বিঘা তিন ফসলি জমি।

গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষক শামীম আহমদ।মূলত কৃষি জমির উর্বরা মাঠি ইটভাটা বিক্রি করতেই পুকুর খনন করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পুকুর খননে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের শফিকুল ও রফিকুল মিলে তিন ফসলি ধানি জমির মাঝ খানে মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) পুকুর খনন শুরু করে। তাদের এ পুকুর খনন দেখে আশেপাশের জমির কৃষকরা বাধাঁ দেয়। এতে তারা কোন কর্ণপাত করেননি। পরে স্থানীয় কৃষক শামিম আহম্মেদ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর রাতের আধাঁরে পুকুর খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সফিকুল ও রফিকুল।

কৃষক সোহাগ মিয়া জানায়,এ জমিগুলোতে ভালো ফসল হয় ফলে। বছরে তিনবার ফসল ঘরে তোলা যায়। পুকুর খননের ফলে আমাদের সকলের জমির ফসল উৎপাদন কমে যাবে।
তাছাড়া সেচ কাজও বন্ধ হয়ে হয়ে যাবে।

পূর্বভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া বলন বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি। সবার সাথে কথা বলে কৃষি জমির যাতে সমস্যা না হয় চেষ্টা করছি। জমিগুলোত ভালো ফসল হয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমীন বলেন, প্রকৃতপক্ষে এখানে যে সব জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে তা সবই উর্বর ফসলি জমি।এখানে জমিগুলোতে বোরো, আমন, সরিষারসহ তিনবার আবাদ হয়ে থাকে। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে আশেপাশে জমিগুলোতে সেচকাজ বন্ধ হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *