ক্যালিফোর্নিয়ার চার্চে বন্দুক হামলায় বহু হতাহতের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মে ১৬, ২০২২ ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি চার্চে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, রোববার (১৫ মে) ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে লেগুনা উডস শহরের জেনেভা প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকধারী। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, কয়েকজনকে গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটকি এবং একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার মাত্র একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো কাউন্টিতে একটি সুপার মার্কেটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ মে) বিকেলে নিউইয়র্কের বাফোলেতে এ ঘটনা ঘটে।

বাফেলো পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়েছে। তবে কতজন হতাহত হয়েছেন তাৎক্ষণিক সঠিক হিসাব এখনো জানা যায়নি। এ ছাড়া অভিযুক্ত বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

কর্মকর্তাদের বরাতে এপির খবরে বলা হয়েছে, ওই বন্দুকধারী সুপার মার্কেটে ঢুকে এলোপাতারি গুলি বর্ষণ করেন। প্রাথমিক ধারণা, তিনি গুলি ছোড়ার ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর পরনে সামরিক ধাঁচের পোশাক এবং বর্ম ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে বন্দুক হামলার ঘটনা। দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, চলতি বছর সাড়ে ৫ মাসেই প্রাণ গেছে দুই শতাধিক মানুষের। আহত অন্তত এক হাজার। একের পর এক বন্দুক হামলায় উদ্বেগে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে আইনপ্রণেতাসহ বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা দীর্ঘদিনের সামাজিক সমস্যা। এর সমাধানে নানাভাবে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। কিন্তু কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বন্দুক হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক মানুষ বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত এক হাজার। গেল এপ্রিলেই মিনেসোটা ও পেনসিলভেনিয়ায় বন্দুক হামলায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *