কিয়েভে ফের শক্তিশালী বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক

জুন ৫, ২০২২ ১:৪৯ অপরাহ্ণ

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ একশ দিন অতিক্রম করেছে। এর মাঝে খবর পাওয়া গেলো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ফের শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটির বিস্ফেররণের শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান শহরটির মেয়র। এতে একজন আহত হওয়ারও দাবি করেছেন তিনি।

মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেছেন, রোববার বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও এখনো কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঐ এলাকায় উদ্ধার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কের কিছু অংশ পুনর্দখলে নেয়ার দাবি করেছে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার লুহানস্কের মেয়র শেহরি হাইদাই বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় এ শহরের ৭০ শতাংশ রাশিয়ার হাতে চলে গেছে। একদিন পরই গত শুক্রবার তিনি আবার বলেন, তীব্র লড়াইয়ের পর রুশ সেনাদের হটিয়ে শহরটির ২০ শতাংশ পুনর্দখল করা হয়েছে।

ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ দখল করতে পারেনি রাশিয়া। তবে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ সেনারা। কয়েক বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও নিজ অবস্থানে অনড় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন পশ্চিমাদের সহযোগিতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ফলে এখনো চলছে দু’পক্ষের লড়াই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো রাষ্ট্রের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা করে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিক থেকে ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ সেনারা। আতঙ্কে কিয়েভ ছাড়েন হাজার হাজার ইউক্রেনীয়। পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

সূত্র: আল-জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *